শিশুদের সামনে যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা উচিত নয়

শিশুদের সামনে যে বিষয় গুলো নিয়ে কথা বলা উচিত নয়
শিশুদের সামনে যে বিষয় গুলো নিয়ে কথা বলা উচিত নয়

আমাদের ফ্যামিলিতে এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে বাচ্চাদের সামনে আলোচনা করা মোটেও উচিত নয়। কারণ শিশুর সামনে এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বললে তাদের স্বাভাবিক বিকাশে কিছুটা ব্যাঘাত করতে পারে এবং মানসিকভাবে চাপ তৈরি হতে পারে। চলুন এ সম্পর্কিত কিছু বিশেষ জেনে নেই।

পরিবারের আর্থিক অবস্থা

দ্রব্যমূলের ঊর্ধের এ যুগের সব পরিবারেই নৃত্য প্রয়োজনে ও চাহিদা মেটাতে হিংস খেতে হয়। তেমনি আপনার পরিবারে আর্থিক অবস্থা যেমনই হোক না কেন শিশুর সামনে থেকে তা আলোচনা করা একদমই বিরত থাকুন। আপনার পরিবার আর্থিক সমস্যার মধ্যে থাকলে বাচ্চাদের সামনে এ সকল বিষয় নিয়ে কখনো আলোচনা করবেন না। এতে করে আপনার শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

দাম্পত্য সমস্যা

পারিবারিক জীবনে কিছুটা ঝগড়া-বিবাদ এবং কলহ লেগে থাকতেই পারে। তবে এই সকল বিষয়গুলো যথাসম্ভব শিশুদের আড়ালে করার চেষ্টা করুন। নিজেদের গোপনীয়তা বজায় রেখে শিশুর সামনে থেকে দূরে সরে গিয়ে বিষয়গুলো সমাধান করার চেষ্টা করুন।

বাসায় যদি এ সকল ব্যাপারে কথা বলা সম্ভব না হয় প্রয়োজনে বাইরে গিয়ে রেস্টুরেন্টে বসে খোলাখুলি ভাবে আপনার জীবন সঙ্গিনীর সাথে কথা বলুন। কিন্তু আপনি যদি বাসার শিশুদের সামনে এই সকল বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেন তাহলে আপনার শিশুর দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যাবে। যা তার ভবিষ্যতের জীবনের জন্য খারাপ প্রভাব ফেলবে।

বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতি

সারা বিশ্বজুড়েই হানাহানি এবং বিভিন্ন রকম রাজনৈতিক ঝামেলা লেগে থাকে। আমরা অনেক সময় বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনের সাথে মোবাইল ফোনে কিংবা পরিবারের লোকজনদের সাথে এই সকল ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করি।

কিন্তু আপনার আদরের ছোট্ট সোনামণি যদি এই সকল কথাগুলো শুনতে চায় তাহলে পৃথিবী এবং দুনিয়ার সম্পর্কে তার নেগেটিভ চিন্তাভাবনা শুরু হবে। যা তার ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জিং জীবনের জন্য খুব একটা সুফল বয়ে আনবে না।

অন্যের সমালোচনা করা

বন্ধুবান্ধবীক্ষণ কিংবা আত্মীয়-স্বজন হোক আমরা প্রায়ই বাসায় বসে থেকে বিভিন্ন কিছু নিয়ে সমালোচনা করে থাকে।

যেমন আপনি যদি আপনার বাচ্চার সামনে তার ফুপু কিংবা আমাদের বিষয়গুলি নিয়ে সমালোচনা করেন তাহলে সে সম্পর্কের ব্যাপারে শিশুর নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে।

এমনকি সে তার ফুফু কিংবা মামা কিংবা দাদার সাথে দেখা হলে সরাসরি বলে যেতে পারে যে আপনি তাদের সম্পর্কে কি কি সমালোচনা করেছেন। তাই এ ধরনের কাছ থেকে নিজেকে যতটা সম্ভবত রাখার চেষ্টা করুন।

হতাশা শারীরিক কিংবা মানসিক জটিলতা

কর্মজীবন এবং পারিবারিক জীবনে আমরা মাওলার জন্যই হতাশায় কিংবা মানসিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যায়।

কিন্তু এ সকল মানসিক সমস্যা কিংবা হতাশার কথা যদি শিশুরা জানতে পারে তাহলে সেও আস্তে আস্তে হতাশা গ্রস্থ ভাবে বেড়ে উঠবে।। এমনকি শিশুদের সামনে সকল রোগ এবং এর সকল ডিপ্রেশনের বিষয়গুলি নিয়ে কখনোই আলোচনা করবেন না।। তাকে সব সময় পজেটিভ দিক সম্পর্কে বোঝান।। এতে করে সে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জিং দুনিয়াতে খুব সহজেই টিকে উন্নতি করতে পারবে।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *