লক্ষাধিক এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে
- আপডেট সময় : ০২:৩২:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ৫৪ বার পড়া হয়েছে
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথবা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির সুযোগের বিষয়ে বিগত অনেক বছর ধরেই আলোচনা হচ্ছে। অবশেষে প্রথমবারের মতো এমন সুযোগ প্রদান করতে যাচ্ছে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ। এর ফলে আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবর্তন করা যাবে কর্মস্থল। চলুন জেনে নেই এই নীতিমালায় আরও কি কি রয়েছে।
তবে সকল এমপিওভুক্তরাই এই সুযোগ পাবেন না। শুধুমাত্র বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সুপারিশ হয়ে যারা শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন তারাই এই সুবিধাটি পাবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ শূন্য পদের বিপরীতে বদলির ফাইলের অনুমোদন প্রদান করেছেন। এই বদলির নীতিমালায় উল্লেখ করা আছে যে, বাংলাদেশের মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বেসরকারি এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
তবে প্রয়োজন হলে তার অধীনস্থ দপ্তরেও তিনি এটি অর্পণ করতে পারেন। তথ্য প্রযুক্তির এই উন্নতির যুগে সফটওয়্যারের মাধ্যমেই পুরো প্রক্রিয়া গুলি সম্পন্ন করা হবে। এর আবেদন ফরম কেমন হবে এগুলো শিক্ষা অধিদপ্তর ও সফটওয়্যার প্রস্তুত করবে। এমনকি এখানে অন্য কোন কমিটি বা কারো হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকবে না বলেও জানা গিয়েছে। এমপিভুক্ত শিক্ষকরা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন বদলি। এমনকি এনটিআরসিএ এর কততম ব্যাচের যোগদান করেছেন সেটিও বিবেচনা করা হবে।
লক্ষাধিক এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে
একটি স্কুল কিংবা কলেজ থেকে কোন শিক্ষককে বদলী প্রদান করা হলে সেই শূন্য পদের বিপরীতে আবার শিক্ষক নিয়োগ দিবে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ। সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে বদলির আদেশ নিয়ে একজন শিক্ষক সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নিকট জমবেদন করবেন এবং যোগদান করার জন্য বাকি কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক বদলি হয়ে যেখানে যাবেন সেই প্রতিষ্ঠান প্রধান বদলির আদেশ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিকট পেশ করবেন। তারপর সেই আদর্শের প্রেক্ষিতে সরকারি অংশের বেতন এবং অন্যান্য বাতা গুলির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হবে।
এই বদলির নীতিমালায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে একজন শিক্ষক তার স্থানীয় ঠিকানা থেকে ঠিক কতটুকু দূরত্বে অবস্থান করছেন তার ওপর নির্ভর করে অগ্রাধিকার বিবেচনা করা হবে। অর্থাৎ যার তাই ঠিকানা যত বেশি দূরে অবস্থিত তার আবেদন গ্রহণের সম্ভাবনা ও তত বেশি থাকবে। এমনকি নারী শিক্ষক ও কর্মচারীদের ক্ষেত্রে স্বামীর অথবা স্থায়ী ঠিকানায়ও কর্মস্থল পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু চাকরি জীবনের অবশ্যই ২ বছর পূর্ণ হতে হবে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির নীতিমালয়ে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোন শিক্ষক বা কর্মকর্তা যে প্রতিষ্ঠানে কর্মস্থল পরিবর্তন করতে চান সেখানে যদি শূন্য পদ না থাকে তাহলে আবেদন বিবেচনায় নেওয়া হবে না। এমনকি বছরের শেষ সময় অর্থাৎ অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর এই ৩ মাসের মধ্যেও সকল কার্যক্রম ভর্তি করা হবে।
আমাদের শেষ কথা
আমরা জানি সরকারি স্কুল, কলেজ গুলোতে শিক্ষকদের বদলির সুযোগ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চাকরি করার পাশাপাশি নিজ জেলায়ও তারা যোগদান করতে পারেন। কিন্তু এনটিআরসি এর মাধ্যমে যে সকল শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হয় এরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পছন্দ করার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়োগ পেয়ে থাকে। কিন্তু কর্মস্থল পরিবর্তন করার সুযোগ না থাকায় চাকরি জীবনের পুরো সময়ই নিজ স্থায়ী ঠিকানা হতে দূরে থাকতে হয়। অনেকদিন ধরেই গিয়ে তারা এই সুবিধা দাবী করে আসছিলেন।
অবশেষে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির সুযোগ প্রদান করা হলো।
ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আজকের নামাজের সময়সূচী জানতে এখানে প্রবেশ করুন।