যে লক্ষণ গুলো দেখলে বুঝবেন আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে
- আপডেট সময় : ১২:০৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪ ১৫ বার পড়া হয়েছে
ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলো পরিলক্ষিত হওয়া সত্বেও অনেকেই বুঝতে পারেন না। দৈহিক অবস্থা যখন খারাপ হতে শুরু করে, ক্লান্তি আর অবসাদ ঘিরে ধরে তখন ডাক্তারের কাছে গিয়ে জানতে পারেন ডায়াবেটিস হয়েছে। মূলত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াও শারীরিক উপসর্গ গুলো দেখেও আপনি বুঝতে পারবেন যে এই সমস্যাটিতে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ৫০ ভাগ মানুষই বুঝতে পারেন না তিনি ইতিমধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গিয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অন্যান্য কোন রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে পরীক্ষায় ধরা পড়ে তার ডায়াবেটিস হয়েছে। তাই এ সম্পর্কে সচেতনতা ও জ্ঞান বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরী।
বাংলাদেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মোট মানুষের সংখ্যা হচ্ছে ১ কোটি ১০ লাখ। তার মধ্য ২৬ লাখ মানুষ হচ্ছে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী। অর্থাৎ বয়স্ক মানুষের পাশাপাশি অল্প বয়সেই তরুন তরুনীরাও এই সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে।
যাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে বেশি তারা প্রাথমিকভাবে এ রোগের লক্ষণ গুলো বুঝতে পারেন না। এটি আস্তে আস্তে মানুষের দেহকে ক্ষয় করে দেয়। যার কারণে পূর্ব থেকেই এই বিষয়ে সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরী। বিশেষজ্ঞদের মতে দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত থাকা সত্ত্বেও সঠিক চিকিৎসা সেবা গ্রহণ না করলে ত্বক নষ্ট হয়ে যেতে, পারে চুল পড়ে যেতে পারে, এমনকি কিডনির লিভার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।
তবে যারা কিনা প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে হাঁটাচলা করেন এবং শারীরিক পরিশ্রম করেন তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলো কি কি
নিচের উপসর্গ গুলো জেনে নিয়ে আপনার এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের শারীরিক অবস্থার সাথে মিলিয়ে দেখুন।
১। ঘন ঘন প্রস্রাব লাগা এবং পানি খেতে ইচ্ছে করা।
২। বেশিরভাগ সময়ই দুর্বল লাগা এবং ঘোর ঘোর ভাব হয়ে আসা।
৩। দিন দিন খাবারের ইচ্ছা এবং ওজন দুটোই বেড়ে যাওয়া।
৪। সঠিক সময়ে খাবার না খেলে রক্তের শর্করার পরিমাণ একবারে কমে যায়।
৫। মিষ্টি জিনিস খাওয়ার প্রতি আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পাওয়া এবং অনেক সময় হঠাৎ করেই ওজন কমে যায়।
৬। শরীরে কোন ক্ষত কিংবা কাটা ছেঁড়া হলে দীর্ঘ সময় পরেও সেটি ভালো হয় না।
৭। চামড়া খসখসে হয়ে যায় এবং চুলকানি ভাব দেখা যায়।
৮। আস্তে আস্তে মেজাজ বৃদ্ধি পায় এবং বিরক্তির পরিমাণও বেড়ে যায়।
৯। চোখে আস্তে আস্তে কম দেখা শুরু হয়।
কারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বেশি হয়ে থাকেন
এটি বংশগতভাবে হয়ে থাকে। যাদের মা-বাবার ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার যোগ্য বেশি। এমনকি যারা নিয়মিত হাঁটাচলা, পর্যাপ্ত পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রম করেন না কিংবা অলস জীবন যাপন করেন তাদের ক্ষেত্রেও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে এই রোগটি হওয়ার।
এছাড়া তাদের হৃদরোগের আক্রান্ত, রক্তে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারাও আক্রান্ত হতে পারেন এই রোগটিতে। গর্ভাবস্থায় মা যদি ডায়াবেটিস আক্রান্ত হয় তাহলে সেই শিশুরাও এর উক্তিতে একান্ত হওয়ার বেশ সম্ভাবনা রয়েছে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করবেন কিভাবে
আমাদের সবারই উচিত নির্দিষ্ট সময় পর পর চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষা করে দেখা। এজন্য যে সব সময় আপনাকে হাসপাতালে যেতে হবে বিষয়টি এমন নয়। যেকোনো ফার্মেসির দোকানে গিয়েও আপনি পরীক্ষা করতে পারবেন। আবার যাদের পরিবারে এই রোগের ইতিহাস রয়েছে তাদের তো কিছুদিন পরপরই পরীক্ষা করা উচিত।
ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলো জানার পাশাপাশি সুস্থ জীবন যাপন স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস এবং নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করতে কত টাকা লাগে? বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।