৩০ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৬:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ ২৫ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজীপুরের পোশাক শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করার কারণে দীর্ঘ রাস্তা ধরে তৈরি হয় যানজট। বিগত ৩ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে তারা এই বিক্ষোভ করে। এর ফলে মহাসড়কের ৩০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে আটকে পড়ে হাজার হাজার যানবাহন। ১০ নভেম্বর রবিবারেও তারা রাস্তা ছাড়েননি। সেনাবাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করলেও কোন সমাধান হয়নি।

মূলত ৯ নভেম্বর শনিবার সকাল থেকেই তারা রাস্তায় অবস্থান নেয়। উক্ত মহাসড়কটি অবরোধ করে রেখেছে প্রায় ২৭ ঘন্টা ধরে। যার কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আটকে পড়ে হাজার হাজার গাড়ি। গন্তব্যস্থলে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করছেন। আটকে থাকা গাড়ি গুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পণ্যবাহী যান। আবার অনেক যাত্রীরা পায়ে হেঁটে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। যার কারণে গাড়ি গুলো যাত্রীবিহীন অবস্থায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিক্ষোভের বিষয়ে শ্রমিকরা জানান, টিএনজেড গ্রুপের ৫টি কারখানায় প্রায় ১২০০ শ্রমিকের বকেয়া বেতন রয়েছে ৩ মাসের। বেতন দেওয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষ নানা ধরনের তালবাহানা করছে। এমনকি তারা এটির পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে বেশ কয়েকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু দাবি আদায়ের তারা অনড় অবস্থানে রয়েছেন।

৩০ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট

এব্যাপারে গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের কে জানান, মালিকপক্ষের সাথে কথা বলে শ্রমিকদের দাবি আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু শ্রমিকদের দাবি মালিকপক্ষ এর আগেও কথা রাখেননি। তাই তারাও সড়ছেন না টাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক থেকে।

মূলত ঢাকা আব্দুল্লাহপুর হয়ে গাজীপুরের চৌরাস্তায় এসে যুক্ত হয়েছে সড়কটি। আবার গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহ, জয়দেবপুর এবং উত্তরবঙ্গের সকল বাস চলাচল করেও এই রাস্তাটির মাধ্যমে। চৌরাস্তার আগে অর্থাৎ মালেকের বাড়ির নিকটে ভোগড়া বাইপাস এলাকা দিয়েও চট্টগ্রাম এবং টাঙ্গাইল রোডে গাড়ি যাতায়াত করে থাকে। যার কারণে প্রতি নিয়তই হাজার হাজার গাড়ি এই রাস্তা দিয়ে যায়। এমনকি উন্নত রাস্তার কারণে অনেক মানুষ দূর থেকে অফিসও যাতায়াতও করেন এই রোড দিয়ে।

ফলে ভোগান্তির পরিমাণও অনেক বেশি। বলতে পারেন ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, উত্তরবঙ্গ, নরসিংদী ইত্যাদি এলাকার সাথে যোগাযোগের অন্যতম রাস্তা হচ্ছে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক।

এই রাস্তার দুই পাশে রয়েছে অসংখ্য পোশাক কারখানা। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার শ্রমিকরা এখানে এসে কাজ করেন। মাঝে মাঝেই বকেয়া বেতন এবং বিভিন্ন দাবিতে তারা রাস্তা অবরোধ করে থাকেন। যার প্রভাব পড়ে পুরো এলাকা জুড়ে।

বেশিরভাগ মোটরসাইকেলের সিটের রঙ কালো হয় কেন? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

৩০ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট

আপডেট সময় : ১১:৩৬:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

গাজীপুরের পোশাক শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করার কারণে দীর্ঘ রাস্তা ধরে তৈরি হয় যানজট। বিগত ৩ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে তারা এই বিক্ষোভ করে। এর ফলে মহাসড়কের ৩০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে আটকে পড়ে হাজার হাজার যানবাহন। ১০ নভেম্বর রবিবারেও তারা রাস্তা ছাড়েননি। সেনাবাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করলেও কোন সমাধান হয়নি।

মূলত ৯ নভেম্বর শনিবার সকাল থেকেই তারা রাস্তায় অবস্থান নেয়। উক্ত মহাসড়কটি অবরোধ করে রেখেছে প্রায় ২৭ ঘন্টা ধরে। যার কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আটকে পড়ে হাজার হাজার গাড়ি। গন্তব্যস্থলে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করছেন। আটকে থাকা গাড়ি গুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পণ্যবাহী যান। আবার অনেক যাত্রীরা পায়ে হেঁটে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। যার কারণে গাড়ি গুলো যাত্রীবিহীন অবস্থায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিক্ষোভের বিষয়ে শ্রমিকরা জানান, টিএনজেড গ্রুপের ৫টি কারখানায় প্রায় ১২০০ শ্রমিকের বকেয়া বেতন রয়েছে ৩ মাসের। বেতন দেওয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষ নানা ধরনের তালবাহানা করছে। এমনকি তারা এটির পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে বেশ কয়েকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু দাবি আদায়ের তারা অনড় অবস্থানে রয়েছেন।

৩০ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট

এব্যাপারে গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের কে জানান, মালিকপক্ষের সাথে কথা বলে শ্রমিকদের দাবি আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু শ্রমিকদের দাবি মালিকপক্ষ এর আগেও কথা রাখেননি। তাই তারাও সড়ছেন না টাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক থেকে।

মূলত ঢাকা আব্দুল্লাহপুর হয়ে গাজীপুরের চৌরাস্তায় এসে যুক্ত হয়েছে সড়কটি। আবার গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহ, জয়দেবপুর এবং উত্তরবঙ্গের সকল বাস চলাচল করেও এই রাস্তাটির মাধ্যমে। চৌরাস্তার আগে অর্থাৎ মালেকের বাড়ির নিকটে ভোগড়া বাইপাস এলাকা দিয়েও চট্টগ্রাম এবং টাঙ্গাইল রোডে গাড়ি যাতায়াত করে থাকে। যার কারণে প্রতি নিয়তই হাজার হাজার গাড়ি এই রাস্তা দিয়ে যায়। এমনকি উন্নত রাস্তার কারণে অনেক মানুষ দূর থেকে অফিসও যাতায়াতও করেন এই রোড দিয়ে।

ফলে ভোগান্তির পরিমাণও অনেক বেশি। বলতে পারেন ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, উত্তরবঙ্গ, নরসিংদী ইত্যাদি এলাকার সাথে যোগাযোগের অন্যতম রাস্তা হচ্ছে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক।

এই রাস্তার দুই পাশে রয়েছে অসংখ্য পোশাক কারখানা। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার শ্রমিকরা এখানে এসে কাজ করেন। মাঝে মাঝেই বকেয়া বেতন এবং বিভিন্ন দাবিতে তারা রাস্তা অবরোধ করে থাকেন। যার প্রভাব পড়ে পুরো এলাকা জুড়ে।

বেশিরভাগ মোটরসাইকেলের সিটের রঙ কালো হয় কেন? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।