ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার আগে সুবিধা অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নিন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৭:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ ৫৫ বার পড়া হয়েছে

ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা-অসুবিধা

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে ডিজিটাল মাধ্যম গুলোতে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ বাড়ছে। বিভিন্ন ভিসা এবং ডেবিট কার্ডের পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা-অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জানাতে আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটি। আপনি যদি এই সম্প্রতি এই ধরনের কোন কার্ড নেওয়ার চিন্তাভাবনা করে থাকেন তাহলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। অথবা আপনার কাছে ইতিমধ্য অনুযায়ী কার্ডটি রয়েছে সেটির খুটিনাটি বিষয়ে জেনে নিন।

ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা গুলি কি কি

প্রথমেই আসি ভালো দিক গুলোতে। বর্তমান যুগের প্রায় প্রত্যেকটি ব্যাংকই গ্রাহকদেরকে বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ড অফার করে থাকে। অনেকের মধ্যে আবার এটি নিয়ে বেশ ভয় কাজ করে। এর কারণ হচ্ছে অত্যাধিক ব্যয়ের সুবিধা। চলুন ক্রেডিট কার্ডের ভালো দিক গুলো জেনে নেই।

অনেক দ্রুত লেনদেন করা যায়

ধরুন আপনি একটি জিনিস কিনতে যাচ্ছেন কিন্তু আপনার কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা নেই। আপনারা ব্যাংক একাউন্টে টাকা না থাকলেও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আপনি লিমিট অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকার থেকে নিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত তাৎক্ষণিকভাবে লোন গ্রহণ করতে পারবেন।

যার কারণে যেকোনো ধরনের পণ্য কেনা যায় যখন তখন। তারপরে ব্যাংকের প্রদান করা নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে অবশ্যই টাকা পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে প্রদান করতে হতে পারে জরিমানা। ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

কার্ডে নিরাপত্তা

বলা হয়ে থাকে যে বিভিন্ন ধরনের ভিসা, ডেবিট ইত্যাদি কার্ডের চাইতে ক্রেডিট কার্ডে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক বেশি। যদি কোন কারণে কেউ আপনার তথ্য চুরি করে কিংবা জানতে ত্রুটি দেখা যায় তাহলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আপনাকে সমাধান করে দিবেন।

ধরুন আপনার কার্ডটি হারিয়ে গেছে এবং কেউ সেটি চুরি করে আপনার টাকা উঠিয়ে নিয়েছে। যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে পুরো অর্থ ফেরত দান করবে। আর সব সময় এ সকল কার্ডের পিন নম্বরটি মুখস্ত রাখবেন কখনোই কথাও লিখে রাখবেন না।

তাৎক্ষনিক লোন সুবিধা

আপনি ব্যাংক, এনজিও কিংবা যেকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে লোন নিতে গেলে বেশ কযেকটি ধাপ পার হতে হয়। আবেদনপত্র জমা দেওয়া, লোনের জন্য দরখাস্ত করা, সমস্ত কাগজপত্র জমা দেওয়া, জামিনদার, নমিনি ইত্যাদি ধাপ থাকে।

কিন্তু আপনার যদি একটি ক্রেডিট কার্ড থাকে তাহলে আপনি যখন তখন, যেখানে সেখানে বসেই লোন তুলতে পারবেন। এমনকি নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে এই লোন পরিশোধ করলে গুনতে হবে না কোন বাড়তে ইন্টারেস্ট। ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা গুলোর মত এটি সবচাইতে বেশি প্রয়োজনীয়।

বিভিন্ন ধরনের ক্যাশব্যাক অফার

বিভিন্ন ধরনের শপিং মল, সিনেমা সেন্টার, অনলাইন সার্ভিস, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদিতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার ফলে বিভিন্ন ধরনের অফার পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের স্পেশাল ডিসকাউন্ট সহ মূল্য ছাড়া বেশ অর্থ সাশ্রয় করা যায়।

যে কোন সময় কার্ড পরিবর্তন করতে পারবেন

ধরুন আপনার কাছে ইতিমধ্যে কার্ডটি আছে সেটাতে আপনার লোনের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। তাই আপনি লিমিট কমিয়ে কিংবা অন্য সুবিধা সম্বলিত যেকোনো কাজ যখন তখন নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে হয়তো সার্ভিস চার্জ হিসেবে সামান্য পরিমাণ টাকা প্রদান করা হতে পারে।

টাকা ট্রান্সফারের সুবিধা

আপনি যদি কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে একাধিক কার্ড ব্যবহার করেন তাহলে একটি হতে আরেকটিতে যে কোন সময় টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।

ক্রেডিট স্কোরের ব্যবহার

আপনি যত বেশি একটি কার্ড ব্যবহার করবেন আপনাকে তত বেশি ক্রেডিট স্কোর প্রদান করা হবে। এই ক্রেডিট গুলো পরবর্তীতে কেনাকাটায় কিংবা যেকোনো ধরনের সার্ভিস গ্রহনে ব্যয় করতে পারবেন।

ক্রেডিট কার্ডের অসুবিধা গুলি কি কি

এতক্ষণ তো ভালো দিক গুলো সম্পর্কে জানলেন। প্রত্যেকটি জিনিসের এ কিছু না কিছু মন দিক থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে ক্রেডিট কার্ডের অসুবিধা গুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো।

অত্যাধিক ঋণ করা

চাইলে যখন তখন টাকা উঠানো যায় বলে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারকারীদের লোনের পরিমাণ দিন দিন বেড়ে যায়। কোথাও ঘুরতে গিয়ে কোন একটি কিছু একটা পছন্দ হলে তখন মনে হয় ক্রেডিট কার্ড তো আছেই কিনে ফেলি। পরবর্তীতে টাকা হলে না হয় সেগুলো শোধ করে দেব।। শুধুমাত্র এই অভ্যাসের কারণে মাস শেষে হয়ে যায় অনেক বাড়তি খরচ।

বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস চার্জ

আপনি যদি এই কার্ড থেকে লোন নিয়ে থাকেন কিংবা কোন পণ্য ক্রয় করে থাকেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে আসে অর্থ পরিশোধ না করেন তাহলে বাড়তি ইন্টারেস্ট প্রদান করতে হবে। আবার প্রতিটি কার্ড ব্যবহারকারীর একটি নির্দিষ্ট সীমা কিংবা লিমিট থাকে। আপনি যদি সেটি অতিক্রম করে ফেললেন তাহলে বাড়তি সার্ভিস চার্জ পূরণ করতে হবে।

আপনার যদি সময় জ্ঞান কিংবা টাকা-পয়সার হিসাব মাথায় ভালো করে না মনে থাকে তাহলে এই ধরনের ব্যবহার বেশ বিপদজনক। ক্রেডিট কার্ডের অসুবিধা গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

সঠিক কার্ড সম্পর্কে জানা

আপনার আয়ের সাথে ব্যায়ের সামঞ্জস্য করে কোন ধরনের কার্ড সবচেয়ে বেশি উপযোগী হবে সেটা জানা প্রয়োজন। কারণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে যেকোনো সময় অর্থ প্রদান করবে ঠিকই কিন্তু সময় মত সেগুলো আপনাকে পরিশোধ করতে হবে। তাই যেকোনো সার্ভিস গ্রহন করার আগে সেটা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। আবার টাকা লোন নেওয়ার পরে সঠিক সময় পরিশোধ না করতে পারলে আপনাকে অনেক কমে যাবে।

আমাদের শেষ কথা

আপনারা ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা গুলি সম্পর্কে আশা করি বুঝতে পেরেছেন। সব সময় আপনার আয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যয় করার পরিকল্পনা করুন। এতে করে বাড়তি ঋণের বোঝা মাথায় চাপবে না এবং বছর শেষে বেশ ভালো অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন।

আলু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি? বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার আগে সুবিধা অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নিন

আপডেট সময় : ০৪:২৭:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে ডিজিটাল মাধ্যম গুলোতে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ বাড়ছে। বিভিন্ন ভিসা এবং ডেবিট কার্ডের পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা-অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জানাতে আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটি। আপনি যদি এই সম্প্রতি এই ধরনের কোন কার্ড নেওয়ার চিন্তাভাবনা করে থাকেন তাহলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। অথবা আপনার কাছে ইতিমধ্য অনুযায়ী কার্ডটি রয়েছে সেটির খুটিনাটি বিষয়ে জেনে নিন।

ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা গুলি কি কি

প্রথমেই আসি ভালো দিক গুলোতে। বর্তমান যুগের প্রায় প্রত্যেকটি ব্যাংকই গ্রাহকদেরকে বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ড অফার করে থাকে। অনেকের মধ্যে আবার এটি নিয়ে বেশ ভয় কাজ করে। এর কারণ হচ্ছে অত্যাধিক ব্যয়ের সুবিধা। চলুন ক্রেডিট কার্ডের ভালো দিক গুলো জেনে নেই।

অনেক দ্রুত লেনদেন করা যায়

ধরুন আপনি একটি জিনিস কিনতে যাচ্ছেন কিন্তু আপনার কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা নেই। আপনারা ব্যাংক একাউন্টে টাকা না থাকলেও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আপনি লিমিট অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকার থেকে নিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত তাৎক্ষণিকভাবে লোন গ্রহণ করতে পারবেন।

যার কারণে যেকোনো ধরনের পণ্য কেনা যায় যখন তখন। তারপরে ব্যাংকের প্রদান করা নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে অবশ্যই টাকা পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে প্রদান করতে হতে পারে জরিমানা। ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

কার্ডে নিরাপত্তা

বলা হয়ে থাকে যে বিভিন্ন ধরনের ভিসা, ডেবিট ইত্যাদি কার্ডের চাইতে ক্রেডিট কার্ডে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক বেশি। যদি কোন কারণে কেউ আপনার তথ্য চুরি করে কিংবা জানতে ত্রুটি দেখা যায় তাহলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আপনাকে সমাধান করে দিবেন।

ধরুন আপনার কার্ডটি হারিয়ে গেছে এবং কেউ সেটি চুরি করে আপনার টাকা উঠিয়ে নিয়েছে। যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে পুরো অর্থ ফেরত দান করবে। আর সব সময় এ সকল কার্ডের পিন নম্বরটি মুখস্ত রাখবেন কখনোই কথাও লিখে রাখবেন না।

তাৎক্ষনিক লোন সুবিধা

আপনি ব্যাংক, এনজিও কিংবা যেকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে লোন নিতে গেলে বেশ কযেকটি ধাপ পার হতে হয়। আবেদনপত্র জমা দেওয়া, লোনের জন্য দরখাস্ত করা, সমস্ত কাগজপত্র জমা দেওয়া, জামিনদার, নমিনি ইত্যাদি ধাপ থাকে।

কিন্তু আপনার যদি একটি ক্রেডিট কার্ড থাকে তাহলে আপনি যখন তখন, যেখানে সেখানে বসেই লোন তুলতে পারবেন। এমনকি নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে এই লোন পরিশোধ করলে গুনতে হবে না কোন বাড়তে ইন্টারেস্ট। ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা গুলোর মত এটি সবচাইতে বেশি প্রয়োজনীয়।

বিভিন্ন ধরনের ক্যাশব্যাক অফার

বিভিন্ন ধরনের শপিং মল, সিনেমা সেন্টার, অনলাইন সার্ভিস, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদিতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার ফলে বিভিন্ন ধরনের অফার পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের স্পেশাল ডিসকাউন্ট সহ মূল্য ছাড়া বেশ অর্থ সাশ্রয় করা যায়।

যে কোন সময় কার্ড পরিবর্তন করতে পারবেন

ধরুন আপনার কাছে ইতিমধ্যে কার্ডটি আছে সেটাতে আপনার লোনের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। তাই আপনি লিমিট কমিয়ে কিংবা অন্য সুবিধা সম্বলিত যেকোনো কাজ যখন তখন নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে হয়তো সার্ভিস চার্জ হিসেবে সামান্য পরিমাণ টাকা প্রদান করা হতে পারে।

টাকা ট্রান্সফারের সুবিধা

আপনি যদি কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে একাধিক কার্ড ব্যবহার করেন তাহলে একটি হতে আরেকটিতে যে কোন সময় টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।

ক্রেডিট স্কোরের ব্যবহার

আপনি যত বেশি একটি কার্ড ব্যবহার করবেন আপনাকে তত বেশি ক্রেডিট স্কোর প্রদান করা হবে। এই ক্রেডিট গুলো পরবর্তীতে কেনাকাটায় কিংবা যেকোনো ধরনের সার্ভিস গ্রহনে ব্যয় করতে পারবেন।

ক্রেডিট কার্ডের অসুবিধা গুলি কি কি

এতক্ষণ তো ভালো দিক গুলো সম্পর্কে জানলেন। প্রত্যেকটি জিনিসের এ কিছু না কিছু মন দিক থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে ক্রেডিট কার্ডের অসুবিধা গুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো।

অত্যাধিক ঋণ করা

চাইলে যখন তখন টাকা উঠানো যায় বলে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারকারীদের লোনের পরিমাণ দিন দিন বেড়ে যায়। কোথাও ঘুরতে গিয়ে কোন একটি কিছু একটা পছন্দ হলে তখন মনে হয় ক্রেডিট কার্ড তো আছেই কিনে ফেলি। পরবর্তীতে টাকা হলে না হয় সেগুলো শোধ করে দেব।। শুধুমাত্র এই অভ্যাসের কারণে মাস শেষে হয়ে যায় অনেক বাড়তি খরচ।

বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস চার্জ

আপনি যদি এই কার্ড থেকে লোন নিয়ে থাকেন কিংবা কোন পণ্য ক্রয় করে থাকেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে আসে অর্থ পরিশোধ না করেন তাহলে বাড়তি ইন্টারেস্ট প্রদান করতে হবে। আবার প্রতিটি কার্ড ব্যবহারকারীর একটি নির্দিষ্ট সীমা কিংবা লিমিট থাকে। আপনি যদি সেটি অতিক্রম করে ফেললেন তাহলে বাড়তি সার্ভিস চার্জ পূরণ করতে হবে।

আপনার যদি সময় জ্ঞান কিংবা টাকা-পয়সার হিসাব মাথায় ভালো করে না মনে থাকে তাহলে এই ধরনের ব্যবহার বেশ বিপদজনক। ক্রেডিট কার্ডের অসুবিধা গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

সঠিক কার্ড সম্পর্কে জানা

আপনার আয়ের সাথে ব্যায়ের সামঞ্জস্য করে কোন ধরনের কার্ড সবচেয়ে বেশি উপযোগী হবে সেটা জানা প্রয়োজন। কারণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে যেকোনো সময় অর্থ প্রদান করবে ঠিকই কিন্তু সময় মত সেগুলো আপনাকে পরিশোধ করতে হবে। তাই যেকোনো সার্ভিস গ্রহন করার আগে সেটা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। আবার টাকা লোন নেওয়ার পরে সঠিক সময় পরিশোধ না করতে পারলে আপনাকে অনেক কমে যাবে।

আমাদের শেষ কথা

আপনারা ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা গুলি সম্পর্কে আশা করি বুঝতে পেরেছেন। সব সময় আপনার আয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যয় করার পরিকল্পনা করুন। এতে করে বাড়তি ঋণের বোঝা মাথায় চাপবে না এবং বছর শেষে বেশ ভালো অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন।

আলু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি? বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।