যেকোনো ধরনের বিপদ থেকে মুক্তি লাভের দোয়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ৫৭ বার পড়া হয়েছে

বিপদ থেকে মুক্তি লাভের দোয়া

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আমাদের জীবনের অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিপদ মুক্তির দোয়া সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব। আমাদের দুনিয়ার জীবনে যেকোনো ধরনের কঠিন সমস্যায় আমরা মহান আল্লাহতালার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করব। আমাদের প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ (সা.) যখনই কোন ধরনের কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতেন তখনই তিনি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতেন।

কোরআন এবং হাদিসে বিপদ মুক্তির দোয়া সম্পর্কে বেশ কিছু বর্ণনা রয়েছে। এ কল দোয়ার বেশিরভাগই ছোট এবং মুখস্ত করাও অনেক সহজ। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ থাকার জন্য যেমনিভাবে খাবারের প্রয়োজন ঠিক তেমনিভাবে আত্মা বা রুহের প্রয়োজন সঠিক মানের পুষ্টি। আর রুহ বা আত্মার খাবার হচ্ছে মহান আল্লাহর জিকির। আমরা যত বেশি মহান আল্লাহ তায়ালার জিকির করব এবং দোয়া প্রার্থনা করব ততই আমাদের মন শান্ত হবে।

যেকোনো ধরনের কঠিন বিপদ থেকে মুক্তি লাভের দোয়া

হযরত উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, একদক বিশ্ব নবী রাসুল (সা.) কে বলতে শুনেছেন “মানুষের উপর যে কোন ধরনের কঠিন বিপদ এলে যেন তিনি পাঠ করেন

“ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না-ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া আখলিফ লী খাইরাম মিনহা”।

উপরোক্ত দোয়াটি পাঠ করার ফলে মহান আল্লাহ তা’আলা বান্দার বিপদ দূর করে দেন এবং তিনি যা কিছু হারিয়েছেন তার বিনিময়ে আরো উত্তম কিছু প্রতিদান দেন।

মহান আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আমাদের আর কোন উপাস্য নেই। তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, মহাজ্ঞানী এবং অসীম দয়ালু। আমাদের জীবন, রিযিক সবকিছুই তিনি দান করেছেন। এমনকি আমাদের যেকোন বিপদ আপদেই তিনিই দূর করতে পারেন।

আমরা অনেক সময় হঠাৎ বিপদে পতিত হয়ে কি করব ভেবে পাইনা। অনেকেই মন এতটাই কঠিন হয়েছে গিয়েছে যে মহান আল্লাহ তায়ালার স্মরণ না করে মানুষের দ্বারে দ্বারে সাহায্য প্রার্থনা করে ঘুরে বেড়াই। অথচ কুরআন এবং হাদিসের অনেক সংখ্যক বিপদ মুক্তির দোয়া রয়েছে। যে দোয়া গুলি পাঠের মাধ্যমে আপনি মুক্তি পেতে পারেন এবং এর বিনিময়ে উত্তম কিছু পেতে পারেন।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আরও বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করা উচিত। বেশি বেশি তওবা এবং ইফতার পাঠ করলে আমাদের রিজিক বৃদ্ধি পায় এবং জীবন হতে বালা মুসিবত দূর হয়ে যায়।

শেষ কথা

একজন মুসলমান হিসেবে আমরা কম বেশি প্রতিনিয়ত দোয়া করে থাকি। কিন্তু এটিকে সাধারণ সীমাবদ্ধতার মধ্যে না করে আরো বেশি বেশি আমল করা প্রয়োজন। আর দোয়া করার সময় বেশ কিছু আদব রয়েছে। বিশেষ করে পবিত্রতা অর্জনের পর দোয়া করলে সেটি মহান আল্লাহ তা’আলা কবুল করেন। দেয়া করার সময় অবশ্যই বিনিয়র সঙ্গে এবং মিনতি ভরা করা কন্ঠে করতে হবে। অতীতের ভুল গুলো স্মরণ করতে হবে এবং সেগুলো যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে সে ব্যাপারেও তওবা করতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবকিছুই ক্ষমা করতে পারেন।

এই বিপদ মুক্তির দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে আপনার রিজিকও বৃদ্ধি পাবে। এমনক আল্লাহ তাআলা এমনভাবে আপনার রিজিকের ব্যবস্থা করে দিবেন যেটি আপনি জীবনে কল্পনাও করতে পারেননি। এজন্য শুধুমাত্র দরকার আপনার আমল এবং বিশ্বাস। আশা করি বিপদ মুক্তির দোয়া সম্পর্কে আপনারা সুস্পষ্টভাবে জানতে পেরেছেন। এই ধরনের আরো প্রয়োজনীয় লেখা পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন।

আসছে বছর এসএসসি পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হবে? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

যেকোনো ধরনের বিপদ থেকে মুক্তি লাভের দোয়া

আপডেট সময় : ০২:৪৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

আমাদের জীবনের অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিপদ মুক্তির দোয়া সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব। আমাদের দুনিয়ার জীবনে যেকোনো ধরনের কঠিন সমস্যায় আমরা মহান আল্লাহতালার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করব। আমাদের প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ (সা.) যখনই কোন ধরনের কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতেন তখনই তিনি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতেন।

কোরআন এবং হাদিসে বিপদ মুক্তির দোয়া সম্পর্কে বেশ কিছু বর্ণনা রয়েছে। এ কল দোয়ার বেশিরভাগই ছোট এবং মুখস্ত করাও অনেক সহজ। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ থাকার জন্য যেমনিভাবে খাবারের প্রয়োজন ঠিক তেমনিভাবে আত্মা বা রুহের প্রয়োজন সঠিক মানের পুষ্টি। আর রুহ বা আত্মার খাবার হচ্ছে মহান আল্লাহর জিকির। আমরা যত বেশি মহান আল্লাহ তায়ালার জিকির করব এবং দোয়া প্রার্থনা করব ততই আমাদের মন শান্ত হবে।

যেকোনো ধরনের কঠিন বিপদ থেকে মুক্তি লাভের দোয়া

হযরত উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, একদক বিশ্ব নবী রাসুল (সা.) কে বলতে শুনেছেন “মানুষের উপর যে কোন ধরনের কঠিন বিপদ এলে যেন তিনি পাঠ করেন

“ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না-ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া আখলিফ লী খাইরাম মিনহা”।

উপরোক্ত দোয়াটি পাঠ করার ফলে মহান আল্লাহ তা’আলা বান্দার বিপদ দূর করে দেন এবং তিনি যা কিছু হারিয়েছেন তার বিনিময়ে আরো উত্তম কিছু প্রতিদান দেন।

মহান আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আমাদের আর কোন উপাস্য নেই। তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, মহাজ্ঞানী এবং অসীম দয়ালু। আমাদের জীবন, রিযিক সবকিছুই তিনি দান করেছেন। এমনকি আমাদের যেকোন বিপদ আপদেই তিনিই দূর করতে পারেন।

আমরা অনেক সময় হঠাৎ বিপদে পতিত হয়ে কি করব ভেবে পাইনা। অনেকেই মন এতটাই কঠিন হয়েছে গিয়েছে যে মহান আল্লাহ তায়ালার স্মরণ না করে মানুষের দ্বারে দ্বারে সাহায্য প্রার্থনা করে ঘুরে বেড়াই। অথচ কুরআন এবং হাদিসের অনেক সংখ্যক বিপদ মুক্তির দোয়া রয়েছে। যে দোয়া গুলি পাঠের মাধ্যমে আপনি মুক্তি পেতে পারেন এবং এর বিনিময়ে উত্তম কিছু পেতে পারেন।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আরও বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করা উচিত। বেশি বেশি তওবা এবং ইফতার পাঠ করলে আমাদের রিজিক বৃদ্ধি পায় এবং জীবন হতে বালা মুসিবত দূর হয়ে যায়।

শেষ কথা

একজন মুসলমান হিসেবে আমরা কম বেশি প্রতিনিয়ত দোয়া করে থাকি। কিন্তু এটিকে সাধারণ সীমাবদ্ধতার মধ্যে না করে আরো বেশি বেশি আমল করা প্রয়োজন। আর দোয়া করার সময় বেশ কিছু আদব রয়েছে। বিশেষ করে পবিত্রতা অর্জনের পর দোয়া করলে সেটি মহান আল্লাহ তা’আলা কবুল করেন। দেয়া করার সময় অবশ্যই বিনিয়র সঙ্গে এবং মিনতি ভরা করা কন্ঠে করতে হবে। অতীতের ভুল গুলো স্মরণ করতে হবে এবং সেগুলো যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে সে ব্যাপারেও তওবা করতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবকিছুই ক্ষমা করতে পারেন।

এই বিপদ মুক্তির দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে আপনার রিজিকও বৃদ্ধি পাবে। এমনক আল্লাহ তাআলা এমনভাবে আপনার রিজিকের ব্যবস্থা করে দিবেন যেটি আপনি জীবনে কল্পনাও করতে পারেননি। এজন্য শুধুমাত্র দরকার আপনার আমল এবং বিশ্বাস। আশা করি বিপদ মুক্তির দোয়া সম্পর্কে আপনারা সুস্পষ্টভাবে জানতে পেরেছেন। এই ধরনের আরো প্রয়োজনীয় লেখা পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন।

আসছে বছর এসএসসি পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হবে? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।