৩ বারের বেশি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না প্রার্থী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০৬:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ৬৮ বার পড়া হয়েছে

৩ বারের বেশি বিসিএস

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সম্প্রতি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে যে একজন চাকরি প্রত্যাশী ৩ বারের বেশি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সেই সাথে নির্ধারন করা হয়েছে চাকরিতে প্রবেশের সর্বনিম্ন বয়সসীমা। ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ২০২৪ তারিখে ঢাকার তেজঁগাওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে একটি সভায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই সাথে মন্ত্রী পরিষদের বিভাগের পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে তথ্য গুলি প্রদান করা হয়েছে।

উক্ত ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডারে একজন চাকরির প্রত্যাশের সর্বোচ্চ ৩২ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। এমনকি বিসিএসের বাইরেও সকল সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য।। তবে ৩ বারের বেশি বিসিএসপরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে না।

বর্তমানে যেকোনো সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর। তবে যারা মুক্তিযোদ্ধার কোটায় আবেদন করে তাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধার কোটায় যারা আবেদন করবে তাদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা কি হবে এ ব্যাপারে আলাদাভাবে বয়স সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।

বিগত কয়েক বছর ধরে সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করে আসছে চাকুরী প্রত্যাশীরা। বিগত ৫ ই আগস্ট দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরেও এই আন্দোলন এবং দাবি অব্যাহত থাকে। পরিপ্রেক্ষিতে শাহবাগে কয়েক দফায়ে চাকরির প্রত্যাশীরা বিক্ষোভ এবং দাবি জানায়। এক পর্যায়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে এসে অবস্থান নেন। পরবর্তীতে এদেরকে ছত্রভঙ্গ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

৩ বারের বেশি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে না

বয়সীমা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ৩০শে সেপ্টেম্বর একটি কমিটি গঠন করে সরকার। উক্ত কমিটির প্রধান ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক সচিব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। যিনি বাংলাদেশ জন প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান। সকল জল্পনা কল্পনা শেষে আজকে ঘোষণা করা হয়েছে ৩ বারের বেশি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে না এবং সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমার সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

এর আগে পর্যালোচনা কমিটি অবশ্য পুরুষদের ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৩৭ করার জন্য সুপারিশ করেছিলেন। সে ক্ষেত্রে অবসরের বয়সীমা কি হবে সেটির ব্যাপারে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়নি।

বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় চাকরি হচ্ছে বিসিএস। সড়কছড়ি জনসাধারণের সেবা প্রদানের সুযোগ, জীবন যাপন, ভবিষ্যতে প্রমোশন, সামাজিক মর্যাদা ইত্যাদির কারণে তরুণরা বিসিএসের প্রতি বেশি আগ্রহী। তাইতো প্রতিবছর কয়েক অল্প কিছু সংখ্যক পদের বিপরীতে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। বিগত সময় গুলোতে একজন প্রার্থী চাইলে তার বয়স সীমার মধ্যে সব গুলো সার্কুলার অনুযায়ী আবেদন করতে পারত। এতে কোন বিধি নিষেধ ছিল না।

শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা বাহিনীর চাকরি ছাড়া অন্যান্য সরকারি সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে আবেদনের ক্ষেত্রে এ নিয়ম ছিল না। এবারই সর্বপ্রথম নিয়ম করা হলো ৩ বারের বেশি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে না।

এছাড়াও বাংলাদেশের বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন এবং প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষে একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করতে পারেন। এ সকল ক্ষেত্রে বয়সীমা কি হবে সেটি এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়নি। কিন্তু সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স হবে ৩২ বছর।

বিকাশ নাকি রকেট কোনটি সেরা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

৩ বারের বেশি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না প্রার্থী

আপডেট সময় : ০৭:০৬:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

সম্প্রতি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে যে একজন চাকরি প্রত্যাশী ৩ বারের বেশি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সেই সাথে নির্ধারন করা হয়েছে চাকরিতে প্রবেশের সর্বনিম্ন বয়সসীমা। ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ২০২৪ তারিখে ঢাকার তেজঁগাওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে একটি সভায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই সাথে মন্ত্রী পরিষদের বিভাগের পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে তথ্য গুলি প্রদান করা হয়েছে।

উক্ত ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডারে একজন চাকরির প্রত্যাশের সর্বোচ্চ ৩২ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। এমনকি বিসিএসের বাইরেও সকল সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য।। তবে ৩ বারের বেশি বিসিএসপরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে না।

বর্তমানে যেকোনো সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর। তবে যারা মুক্তিযোদ্ধার কোটায় আবেদন করে তাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধার কোটায় যারা আবেদন করবে তাদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা কি হবে এ ব্যাপারে আলাদাভাবে বয়স সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।

বিগত কয়েক বছর ধরে সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করে আসছে চাকুরী প্রত্যাশীরা। বিগত ৫ ই আগস্ট দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরেও এই আন্দোলন এবং দাবি অব্যাহত থাকে। পরিপ্রেক্ষিতে শাহবাগে কয়েক দফায়ে চাকরির প্রত্যাশীরা বিক্ষোভ এবং দাবি জানায়। এক পর্যায়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে এসে অবস্থান নেন। পরবর্তীতে এদেরকে ছত্রভঙ্গ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

৩ বারের বেশি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে না

বয়সীমা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ৩০শে সেপ্টেম্বর একটি কমিটি গঠন করে সরকার। উক্ত কমিটির প্রধান ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক সচিব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। যিনি বাংলাদেশ জন প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান। সকল জল্পনা কল্পনা শেষে আজকে ঘোষণা করা হয়েছে ৩ বারের বেশি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে না এবং সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমার সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

এর আগে পর্যালোচনা কমিটি অবশ্য পুরুষদের ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৩৭ করার জন্য সুপারিশ করেছিলেন। সে ক্ষেত্রে অবসরের বয়সীমা কি হবে সেটির ব্যাপারে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়নি।

বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় চাকরি হচ্ছে বিসিএস। সড়কছড়ি জনসাধারণের সেবা প্রদানের সুযোগ, জীবন যাপন, ভবিষ্যতে প্রমোশন, সামাজিক মর্যাদা ইত্যাদির কারণে তরুণরা বিসিএসের প্রতি বেশি আগ্রহী। তাইতো প্রতিবছর কয়েক অল্প কিছু সংখ্যক পদের বিপরীতে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। বিগত সময় গুলোতে একজন প্রার্থী চাইলে তার বয়স সীমার মধ্যে সব গুলো সার্কুলার অনুযায়ী আবেদন করতে পারত। এতে কোন বিধি নিষেধ ছিল না।

শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা বাহিনীর চাকরি ছাড়া অন্যান্য সরকারি সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে আবেদনের ক্ষেত্রে এ নিয়ম ছিল না। এবারই সর্বপ্রথম নিয়ম করা হলো ৩ বারের বেশি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে না।

এছাড়াও বাংলাদেশের বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন এবং প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষে একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করতে পারেন। এ সকল ক্ষেত্রে বয়সীমা কি হবে সেটি এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়নি। কিন্তু সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স হবে ৩২ বছর।

বিকাশ নাকি রকেট কোনটি সেরা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।