প্রতিদিন খেজুর খেলে পাওয়া যাবে যে উপকারিতা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ৪৭ বার পড়া হয়েছে

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আপনি কি ওজন কমানোর পাশাপাশি একটি সুস্বাদু খাবার, সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকের এই লেখাটি আপনার জন্য । খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকের জানা আছে। অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফলটি সবচাইতে বেশি খাওয়া হয়ে থাকে পবিত্র রমজান মাসে।

ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম সহ নানা ধরনের খনিজ পদার্থ রয়েছে এই ফলে। যেটি আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে অনেক বেশি শক্তিশালী করে। আর ইমিউন সিস্টেম আমাদের দেহ থেকে সমস্ত ধরনের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। দিনে মাত্র কয়েকটা খেজুর খেয়েই আপনি অনেকটাই সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন।

শুধুমাত্র ভিটামিন ই নয় বরং এটা রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যেটি আমাদের পরিপাক তন্ত্রকে ভালো রাখে। এত সকল ভূমিকার কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে আমাদের অসুখ থেকে দূরে থাকা খুবই সহজ হয়ে যায়।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

আপনার যদি ডায়াবেটিস কিংবা অন্য কোনো কারণে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকে তাহলে খেতে পারেন খেজুর। কারণ এটির টেস্ট অনেকটাই মিষ্টি। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা যা যেকোনো মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।

রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার

হজম শক্তি বৃদ্ধি এবং ক্ষুধার চাহিদা মেটানোর জন্য ফাইবার অত্যন্ত জরুরী। ফাইবার আমাদের অন্যান্য ধরনের জাঙ্ক ফুড কিংবা ভাজাপোড়া খাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে। যারা কিনা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য খেজুর খুবই কার্যকরী।

বাড়তি স্বাদের জন্য

অনেক সময় একই রকমের খাবার খেয়ে আমরা বিরক্ত হয়ে যাই। তাইতো যেকোনো ধরনের রেসিপিতে বাড়তি স্বাদের জন্য খেজুর ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি খাবারের পরে ডেজার্ট হিসেবেও রাখতে পারেন এটি।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা হচ্ছে দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি

যারা নিয়মিত জিম করেন, কঠোর পরিশ্রম করেন কিংবা খেলাধুলা করেন তাদের দেহের শক্তি বৃদ্ধির জন্য এই ফলটি প্রয়োজন। নিয়মিত কিছু পরিমাণে এই ফলটি খেলে সারাদিন কাজ করেও ক্লান্তি অনুভব করবেন না।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

আমি এর আগেও একবার উল্লেখ করেছি এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এছাড়াও এই উপাদানটি মুখের লালা কে আমাদের খাদ্য উপাদানের সাথে ভালোভাবে মিশতে সাহায্য করে। সমস্যা একদম দূর হয়ে যায়।

খেজুর খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে

মানুষের দেহের ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পটাশিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত এই ফলটি খাওয়ার ফলে কোলেস্টরেল, স্ট্রোক, হার্টের রোগ ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। খেজুর খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে হয় এটি অন্যতম।

দেহের হাড়কে মজবুত করে

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বাচ্চাদের দেহের হাড়কে মজবুত করা এবং শরীরের রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে নিয়মিত পানিতে ভেজানো খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ এতে রয়েছে অনেক পরিমানে ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম।

চোখকে ভালো রাখে

চোখের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে কর্নিয়া। এটিকে সতেজ এবং ভালো রাখার জন্য প্রয়োজন ভিটামিন ই। তাই নিয়মিত এই ফলটি গ্রহণের কারণে আমাদের চোখ সুরক্ষিত থাকে।

খাওয়ার পদ্ধতি এবং অন্যান্য বিষয়

সাধারণত সকালবেলায় খালি পেটে খেজুর খেলে উপকার বেশি হয়। তবে দিনের যে কোন সময় এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে এটি খেতে পারেন।

সামনে আসছে পবিত্র মাহে রমজান। আর এ রমজানের ইফতারিতে মুসলমানদের অন্যতম একটি খাবার হচ্ছে খেজুর। কিন্তু উপকারিতা পাওয়ার জন্য আমাদেরকে বছরের অন্যান্য সময়ও এটি খাওয়া উচিত।

তবে এটাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকায় অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। বিশেষজ্ঞদের মতে দৈনিক ৩ থেকে ৬ খেজুর খাওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তবে যাদের এটা ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আজ থেকেই শুরু করুন

যেহেতু সহজলভ্য এই ফলটির তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তাই আজ থেকে নিয়মিত খাওয়া শুরু করে দিতে পারেন। সেই সাথে পরিবারের বয়স্ক এবং ছোট শিশুদেরকে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অবহিত করুন। যাতে করে তারাও সমৃদ্ধ এবং স্বাস্থ্য সচেতন জীবন যাপন করতে পারে।

দার্জিলিং ঘুরতে যাওয়ার সেরা সময় কখন? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রতিদিন খেজুর খেলে পাওয়া যাবে যে উপকারিতা

আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

আপনি কি ওজন কমানোর পাশাপাশি একটি সুস্বাদু খাবার, সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকের এই লেখাটি আপনার জন্য । খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকের জানা আছে। অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফলটি সবচাইতে বেশি খাওয়া হয়ে থাকে পবিত্র রমজান মাসে।

ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম সহ নানা ধরনের খনিজ পদার্থ রয়েছে এই ফলে। যেটি আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে অনেক বেশি শক্তিশালী করে। আর ইমিউন সিস্টেম আমাদের দেহ থেকে সমস্ত ধরনের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। দিনে মাত্র কয়েকটা খেজুর খেয়েই আপনি অনেকটাই সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন।

শুধুমাত্র ভিটামিন ই নয় বরং এটা রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যেটি আমাদের পরিপাক তন্ত্রকে ভালো রাখে। এত সকল ভূমিকার কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে আমাদের অসুখ থেকে দূরে থাকা খুবই সহজ হয়ে যায়।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

আপনার যদি ডায়াবেটিস কিংবা অন্য কোনো কারণে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকে তাহলে খেতে পারেন খেজুর। কারণ এটির টেস্ট অনেকটাই মিষ্টি। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা যা যেকোনো মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।

রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার

হজম শক্তি বৃদ্ধি এবং ক্ষুধার চাহিদা মেটানোর জন্য ফাইবার অত্যন্ত জরুরী। ফাইবার আমাদের অন্যান্য ধরনের জাঙ্ক ফুড কিংবা ভাজাপোড়া খাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে। যারা কিনা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য খেজুর খুবই কার্যকরী।

বাড়তি স্বাদের জন্য

অনেক সময় একই রকমের খাবার খেয়ে আমরা বিরক্ত হয়ে যাই। তাইতো যেকোনো ধরনের রেসিপিতে বাড়তি স্বাদের জন্য খেজুর ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি খাবারের পরে ডেজার্ট হিসেবেও রাখতে পারেন এটি।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা হচ্ছে দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি

যারা নিয়মিত জিম করেন, কঠোর পরিশ্রম করেন কিংবা খেলাধুলা করেন তাদের দেহের শক্তি বৃদ্ধির জন্য এই ফলটি প্রয়োজন। নিয়মিত কিছু পরিমাণে এই ফলটি খেলে সারাদিন কাজ করেও ক্লান্তি অনুভব করবেন না।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

আমি এর আগেও একবার উল্লেখ করেছি এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এছাড়াও এই উপাদানটি মুখের লালা কে আমাদের খাদ্য উপাদানের সাথে ভালোভাবে মিশতে সাহায্য করে। সমস্যা একদম দূর হয়ে যায়।

খেজুর খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে

মানুষের দেহের ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পটাশিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত এই ফলটি খাওয়ার ফলে কোলেস্টরেল, স্ট্রোক, হার্টের রোগ ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। খেজুর খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে হয় এটি অন্যতম।

দেহের হাড়কে মজবুত করে

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বাচ্চাদের দেহের হাড়কে মজবুত করা এবং শরীরের রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে নিয়মিত পানিতে ভেজানো খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ এতে রয়েছে অনেক পরিমানে ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম।

চোখকে ভালো রাখে

চোখের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে কর্নিয়া। এটিকে সতেজ এবং ভালো রাখার জন্য প্রয়োজন ভিটামিন ই। তাই নিয়মিত এই ফলটি গ্রহণের কারণে আমাদের চোখ সুরক্ষিত থাকে।

খাওয়ার পদ্ধতি এবং অন্যান্য বিষয়

সাধারণত সকালবেলায় খালি পেটে খেজুর খেলে উপকার বেশি হয়। তবে দিনের যে কোন সময় এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে এটি খেতে পারেন।

সামনে আসছে পবিত্র মাহে রমজান। আর এ রমজানের ইফতারিতে মুসলমানদের অন্যতম একটি খাবার হচ্ছে খেজুর। কিন্তু উপকারিতা পাওয়ার জন্য আমাদেরকে বছরের অন্যান্য সময়ও এটি খাওয়া উচিত।

তবে এটাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকায় অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। বিশেষজ্ঞদের মতে দৈনিক ৩ থেকে ৬ খেজুর খাওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তবে যাদের এটা ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আজ থেকেই শুরু করুন

যেহেতু সহজলভ্য এই ফলটির তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তাই আজ থেকে নিয়মিত খাওয়া শুরু করে দিতে পারেন। সেই সাথে পরিবারের বয়স্ক এবং ছোট শিশুদেরকে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অবহিত করুন। যাতে করে তারাও সমৃদ্ধ এবং স্বাস্থ্য সচেতন জীবন যাপন করতে পারে।

দার্জিলিং ঘুরতে যাওয়ার সেরা সময় কখন? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।