জেনে নিন বিকাশ নাকি রকেট কোনটি সেরা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ৬৬ বার পড়া হয়েছে

বিকাশ নাকি রকেট কোনটি ভালো

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের সেরা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ বিকাশ নাকি রকেট কোনটি ভালো এ সম্পর্কে অনেকেই তুলনামূলক তথ্য চেয়েছে। এর পাশাপাশি আরো রয়েছে নগদ। জনপ্রিয়তার দিক থেকে তিনটি মোটামুটি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির এই উন্নতির যুগে মানুষের সহজ লেনদেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে এই সকল সেবা সমূহ।

টাকা পাঠানো এবং উত্তোলনের পাশাপাশি বর্তমানে বিকাশ, রকেটে অ্যাপ ব্যবহার করে আরো অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিদ্যুৎ বিল প্রদান, ইন্টারনেট বিল প্রদান, সরাসরি ব্যাংকের সাথে লেনদেন, দেশ-বিদেশে টাকা লেনদেন ইত্যাদি। এতে করে মানুষের একদিকে যেমন সময় বাঁচে অপরদিকে অর্থও সাশ্রয় হয়। বাংলাদেশের এমন কোন মানুষ নেই যারা লেনদেনের জন্য এই ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করে না।

বিকাশ নাকি রকেট কোনটি ভালো

প্রিয় পাঠক বন্ধু। এ দুইটির ভিতর কোনটির সেবা ভালো তার জন্য বিভিন্ন সার্ভিসের মধ্যে তুলনামূলক তথ্য প্রয়োজন হবে। আপনাদের সুবিধার জন্য আমি নিম্নে তা উল্লেখ করলাম।

টাকা ক্যাশ আউটের খরচ

মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহারের অন্যতম ক্ষেত্র হচ্ছে টাকা ক্যাশ আউট করা। অর্থাৎ আপনাকে যদি কেউ টাকা পাঠায় তাহলে দোকান থেকে সেটি উত্তোলন করার বিষয়টিকে আমরা ক্যাশ আউট নামে চিনি। তবে আপনি চাইলে ব্যাংক এটিএম বুথ থেকেও এই অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।

বাংলাদেশে যত গুলো দোকানে বিকাশের সার্ভিস পর্যন্ত রয়েছে ঠিক সেই পরিমাণ দোকানে রকেটের সার্ভিসও রয়েছে। এক্ষেত্রে সমান সমান ধরে নিতে পারেন। তবে ক্যাশ আউট চার্জের ক্ষেত্রে কিছু তারতম্য রয়েছে।

আপনি যদি দোকান থেকে অর্থ উত্তোলন করেন তাহলে চার্জ করবে প্রায় প্রতি হাজারে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। রকেটের ক্ষেত্রে চার্জ ঠিক একই রকম।

বিকাশের ক্ষেত্রে প্রিয় এজেন্ট নম্বরে প্রতি হাজারে ১৪ টাকা ৫০ পয়সায় অর্থ উত্তোলন করা যায়।

পর্যাপ্ত এটিএম ব্যবহারের সুবিধা

এজেন্ট দোকান থেকে ক্যাশ আউটের চাইতে এটিএম বুথ ব্যবহার করে অর্থ উত্তোলনে খরচ অনেকটাই কম হয়। এক্ষেত্রে বিকাশ নাকি রকেট কোনটি ভালো চলুন শেষ সম্পর্কে জেনে নেই।

রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এ এটিএম বুথ থেকে ক্যাশ আউট করলে চার্জ হচ্ছে প্রতি হাজারে ৯ টাকা। আর বিকাশের এটিএম বুথ থেকে অর্থ উত্তোলোনের চার্জ হচ্ছে প্রতি হাজার ১৪ টাকা ৯০ পয়সা। এক্ষেত্রে রকেট অনেকটাই সাশ্রয়ী।

আবার সারাদেশে রকেটের রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে এটিএম বুথ রয়েছে।

সেন্ড মানিতে টাকা খরচ

অর্থ উত্তোলনের পর আমরা সবচাইতে যে সেবাটি বেশি ব্যবহার করে সেটি হচ্ছে সেন্ড মানি। পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, ব্যবসায়ীক ইত্যাদি কাজে আমাদেরকে প্রতিনিয়তই অর্থ লেনদেন করতে হয়। আর এই পদ্ধতি তে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া কে বলা হয় সেন্ড মানি। এক্ষেত্রে বিকাশ নাকি রকেট কোনটি ভালো চলুন জেনে নেই।

সাধারণত বিকাশের ক্ষেত্রে সেন্ড মানিতে খরচ ৫ টাকা করে। তবে আপনি যদি প্রিয় নম্বর সেট করেন তাহলে সেন্ড মানিতে কোন খরচ হবে না। এক্ষেত্রে আপনি একাধিক প্রিয় নম্বর সেট করতে পারবেন। আর রকেটের সেন্ড মানিতে খরচ একদম ফ্রি।

পেমেন্ট প্রদানের ক্ষেত্রে বিকাশ নাকি রকেট কোনটি ভালো

এখন বিভিন্ন অনলাইন সার্ভিস হতে পণ্য ক্রয়, বিভিন্ন ধরনের সেবা গ্রহণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে পেমেন্ট করার প্রয়োজন পড়ে। এক্ষেত্রে ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করার পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ গুলো ব্যাপকভাবে কার্যকরী। এমনকি দেশের ছোট ছোট শোরুম এবং দোকান গুলোতেও পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে। আপনি উভয় উভয় ক্ষেত্রেই সমান সুবিধা পাবেন।

বেতন উত্তোলনের ক্ষেত্রে সুবিধা

বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এবং নানা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে স্যালারি প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রেও বিকাশ এবং রকেট কিংবা নগদ সমান সুবিধা প্রদান করে থাকে। তবে রকেটের এটিএম বুথের সংখ্যা বেশি।

লোন সুবিধা

বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং গুলোর মধ্যে একমাত্র বিকাশই তারা গ্রাহকদেরকে সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে লোন সুবিধা প্রদান করে থাকে। এক্ষেত্রে একজন সেবা গ্রহীতা তার ব্যবহারের উপরে ভিত্তি করে বিভিন্ন ক্যাটাগরির লোন নিতে পারে। এমনকি এটি পরিশোধ করা খুবই সহজ। বিকাশের টাকা ডিপোজিট করলেই কিস্তি পরিশোধ হয়ে যায়। সেই সাথে এটি উত্তোলনের জন্য কোন ঝামেলা নেই যখন তখন এটি পাওয়া যায়।

গ্রাহকদের জন্য সেভিংসের সুবিধা

এতদিন মানুষ শুধু ব্যাংকে কিংবা বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা ডিপোজিট করেছে অর্থাৎ সেভিংস করেছে। এখন সেটি মানুষের হাতের নাগালে চলে এসেছে। আপনি জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ বিকাশের মাধ্যমেই এই সুবিধাটি ভোগ করতে পারবেন। সেভিংস সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রেও বিশেষ সুবিধা পাবেন। কিন্তু রকেটের এখন পর্যন্ত এই ধরনের কোন সেবা প্রদান করেনি।

বিকাশ এবং রকেটের অন্যান্য সার্ভিস সমূহ

• উভয় সেবা ব্যবহার করে আপনি ব্যাংক হতে টাকা এড এবং ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।

• মোবাইলে রিচার্জের সুবিধা দুটি ক্ষেত্রেই সমান। এমনকি দুটি প্রতিষ্ঠানে আলাদা আলাদা ভাবে গ্রাহকদেরকে রিচার্জের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্পেশাল অফার প্রদান করে থাকে।

• কেনাকাটার ক্ষেত্রেও দুটি প্রতিষ্ঠানে নানা ধরনের ডিসকাউন্ট এবং ক্যাশব্যাক অফার দিয়ে থাকে।

• বাংলাদেশের বাইরে যে কোন দেশের সাথে লেনদেনের ক্ষেত্রে এবং সার্ভিস গ্রহনে আপনি নানারকম সুবিধা পাবেন।

আমাদের শেষ কথা

আশা করি বিকাশ নাকি রকেট কোনটি ভালো সে সম্পর্কে আপনারা ধারণা লাভ করতে পেরেছেন। তুলনামূলক বিচার করলে উভয়েই বাংলাদেশের সেরা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ। তবে এটিএম সুবিধা, বিভিন্ন ধরনের সার্ভিসের পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।

কিভাবে কম দামী মোবাইল দিয়ে ভালো ছবি তুলবেন? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জেনে নিন বিকাশ নাকি রকেট কোনটি সেরা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশের সেরা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ বিকাশ নাকি রকেট কোনটি ভালো এ সম্পর্কে অনেকেই তুলনামূলক তথ্য চেয়েছে। এর পাশাপাশি আরো রয়েছে নগদ। জনপ্রিয়তার দিক থেকে তিনটি মোটামুটি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির এই উন্নতির যুগে মানুষের সহজ লেনদেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে এই সকল সেবা সমূহ।

টাকা পাঠানো এবং উত্তোলনের পাশাপাশি বর্তমানে বিকাশ, রকেটে অ্যাপ ব্যবহার করে আরো অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিদ্যুৎ বিল প্রদান, ইন্টারনেট বিল প্রদান, সরাসরি ব্যাংকের সাথে লেনদেন, দেশ-বিদেশে টাকা লেনদেন ইত্যাদি। এতে করে মানুষের একদিকে যেমন সময় বাঁচে অপরদিকে অর্থও সাশ্রয় হয়। বাংলাদেশের এমন কোন মানুষ নেই যারা লেনদেনের জন্য এই ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করে না।

বিকাশ নাকি রকেট কোনটি ভালো

প্রিয় পাঠক বন্ধু। এ দুইটির ভিতর কোনটির সেবা ভালো তার জন্য বিভিন্ন সার্ভিসের মধ্যে তুলনামূলক তথ্য প্রয়োজন হবে। আপনাদের সুবিধার জন্য আমি নিম্নে তা উল্লেখ করলাম।

টাকা ক্যাশ আউটের খরচ

মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহারের অন্যতম ক্ষেত্র হচ্ছে টাকা ক্যাশ আউট করা। অর্থাৎ আপনাকে যদি কেউ টাকা পাঠায় তাহলে দোকান থেকে সেটি উত্তোলন করার বিষয়টিকে আমরা ক্যাশ আউট নামে চিনি। তবে আপনি চাইলে ব্যাংক এটিএম বুথ থেকেও এই অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।

বাংলাদেশে যত গুলো দোকানে বিকাশের সার্ভিস পর্যন্ত রয়েছে ঠিক সেই পরিমাণ দোকানে রকেটের সার্ভিসও রয়েছে। এক্ষেত্রে সমান সমান ধরে নিতে পারেন। তবে ক্যাশ আউট চার্জের ক্ষেত্রে কিছু তারতম্য রয়েছে।

আপনি যদি দোকান থেকে অর্থ উত্তোলন করেন তাহলে চার্জ করবে প্রায় প্রতি হাজারে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। রকেটের ক্ষেত্রে চার্জ ঠিক একই রকম।

বিকাশের ক্ষেত্রে প্রিয় এজেন্ট নম্বরে প্রতি হাজারে ১৪ টাকা ৫০ পয়সায় অর্থ উত্তোলন করা যায়।

পর্যাপ্ত এটিএম ব্যবহারের সুবিধা

এজেন্ট দোকান থেকে ক্যাশ আউটের চাইতে এটিএম বুথ ব্যবহার করে অর্থ উত্তোলনে খরচ অনেকটাই কম হয়। এক্ষেত্রে বিকাশ নাকি রকেট কোনটি ভালো চলুন শেষ সম্পর্কে জেনে নেই।

রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এ এটিএম বুথ থেকে ক্যাশ আউট করলে চার্জ হচ্ছে প্রতি হাজারে ৯ টাকা। আর বিকাশের এটিএম বুথ থেকে অর্থ উত্তোলোনের চার্জ হচ্ছে প্রতি হাজার ১৪ টাকা ৯০ পয়সা। এক্ষেত্রে রকেট অনেকটাই সাশ্রয়ী।

আবার সারাদেশে রকেটের রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে এটিএম বুথ রয়েছে।

সেন্ড মানিতে টাকা খরচ

অর্থ উত্তোলনের পর আমরা সবচাইতে যে সেবাটি বেশি ব্যবহার করে সেটি হচ্ছে সেন্ড মানি। পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, ব্যবসায়ীক ইত্যাদি কাজে আমাদেরকে প্রতিনিয়তই অর্থ লেনদেন করতে হয়। আর এই পদ্ধতি তে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া কে বলা হয় সেন্ড মানি। এক্ষেত্রে বিকাশ নাকি রকেট কোনটি ভালো চলুন জেনে নেই।

সাধারণত বিকাশের ক্ষেত্রে সেন্ড মানিতে খরচ ৫ টাকা করে। তবে আপনি যদি প্রিয় নম্বর সেট করেন তাহলে সেন্ড মানিতে কোন খরচ হবে না। এক্ষেত্রে আপনি একাধিক প্রিয় নম্বর সেট করতে পারবেন। আর রকেটের সেন্ড মানিতে খরচ একদম ফ্রি।

পেমেন্ট প্রদানের ক্ষেত্রে বিকাশ নাকি রকেট কোনটি ভালো

এখন বিভিন্ন অনলাইন সার্ভিস হতে পণ্য ক্রয়, বিভিন্ন ধরনের সেবা গ্রহণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে পেমেন্ট করার প্রয়োজন পড়ে। এক্ষেত্রে ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করার পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ গুলো ব্যাপকভাবে কার্যকরী। এমনকি দেশের ছোট ছোট শোরুম এবং দোকান গুলোতেও পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে। আপনি উভয় উভয় ক্ষেত্রেই সমান সুবিধা পাবেন।

বেতন উত্তোলনের ক্ষেত্রে সুবিধা

বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এবং নানা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে স্যালারি প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রেও বিকাশ এবং রকেট কিংবা নগদ সমান সুবিধা প্রদান করে থাকে। তবে রকেটের এটিএম বুথের সংখ্যা বেশি।

লোন সুবিধা

বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং গুলোর মধ্যে একমাত্র বিকাশই তারা গ্রাহকদেরকে সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে লোন সুবিধা প্রদান করে থাকে। এক্ষেত্রে একজন সেবা গ্রহীতা তার ব্যবহারের উপরে ভিত্তি করে বিভিন্ন ক্যাটাগরির লোন নিতে পারে। এমনকি এটি পরিশোধ করা খুবই সহজ। বিকাশের টাকা ডিপোজিট করলেই কিস্তি পরিশোধ হয়ে যায়। সেই সাথে এটি উত্তোলনের জন্য কোন ঝামেলা নেই যখন তখন এটি পাওয়া যায়।

গ্রাহকদের জন্য সেভিংসের সুবিধা

এতদিন মানুষ শুধু ব্যাংকে কিংবা বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা ডিপোজিট করেছে অর্থাৎ সেভিংস করেছে। এখন সেটি মানুষের হাতের নাগালে চলে এসেছে। আপনি জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ বিকাশের মাধ্যমেই এই সুবিধাটি ভোগ করতে পারবেন। সেভিংস সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রেও বিশেষ সুবিধা পাবেন। কিন্তু রকেটের এখন পর্যন্ত এই ধরনের কোন সেবা প্রদান করেনি।

বিকাশ এবং রকেটের অন্যান্য সার্ভিস সমূহ

• উভয় সেবা ব্যবহার করে আপনি ব্যাংক হতে টাকা এড এবং ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।

• মোবাইলে রিচার্জের সুবিধা দুটি ক্ষেত্রেই সমান। এমনকি দুটি প্রতিষ্ঠানে আলাদা আলাদা ভাবে গ্রাহকদেরকে রিচার্জের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্পেশাল অফার প্রদান করে থাকে।

• কেনাকাটার ক্ষেত্রেও দুটি প্রতিষ্ঠানে নানা ধরনের ডিসকাউন্ট এবং ক্যাশব্যাক অফার দিয়ে থাকে।

• বাংলাদেশের বাইরে যে কোন দেশের সাথে লেনদেনের ক্ষেত্রে এবং সার্ভিস গ্রহনে আপনি নানারকম সুবিধা পাবেন।

আমাদের শেষ কথা

আশা করি বিকাশ নাকি রকেট কোনটি ভালো সে সম্পর্কে আপনারা ধারণা লাভ করতে পেরেছেন। তুলনামূলক বিচার করলে উভয়েই বাংলাদেশের সেরা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ। তবে এটিএম সুবিধা, বিভিন্ন ধরনের সার্ভিসের পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।

কিভাবে কম দামী মোবাইল দিয়ে ভালো ছবি তুলবেন? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।