মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ বল কাকে বলে | এদের মধ্যেও পার্থক্য কি
- আপডেট সময় : ১০:০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ৫৬ বার পড়া হয়েছে
বিজ্ঞানের দুটি বিস্ময়কর আবিষ্কার মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ কাকে বলে সেটা কি তোমরা জানো? না জেনে থাকলে আজকে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ো। এতে করে তোমরা গ্র্যাভিটি সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় সম্পর্কের স্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে। কারণ আমি এই দুইটি বিষয়ের সকল খুঁটিনাটি নিম্নে আলোচনা করছি।
মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ বল কাকে বলে
আমরা বিজ্ঞান বইতে পড়েছি মহাবিশ্বের প্রত্যেকটি বস্তুকণা একে অপরকে আকর্ষণ করে। যদি মহাবিশ্বের এই যে কোন দুইটি বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণ বল হিসেব করো তাহলে সেটিকে অবশ্যই মহাকর্ষ বলা হয়। আর যদি সেই দুইটি বস্তুর মধ্যে একটি পৃথিবী হয় তাহলে সেটিকে বলা হয় অভিকর্ষ বল।
সহজ ভাবে বলতে গেলে পৃথিবীর সাথে যে কোন বস্তুর আকর্ষণ বলকেই অভিকর্ষ বল বলা হয়। আর পৃথিবী বাদে যেকোনো দুটি বস্তুর মধ্যকার এই ক্রিয়াকৃত বল কে বলা হয় মহাকর্ষ বল। সেই হিসেবে অভিকর্ষ বলকে এক প্রকারের মহাকর্ষ বল বলা যায়। একে আবার মধ্যাকর্ষণও বলা হয়ে থাকে। যেটি আবিষ্কার করেছিলেন বিজ্ঞানী নিউটন।
উদাহরণ:
ধরো তুমি যেকোনো একটি বস্তুকে মাটি থেকে উপরের দিকে ছুড়ে মারলে। কিন্তু একটু সময় পর সেটি পুনরায় মাটিতে পতিত হয়। প্রশ্ন হচ্ছে সেটি কেন উপরের দিকে যেতে থাকল না? এর কারণ হচ্ছে পৃথিবী সেই বস্তুটিকে নিজের দিকে টেনে ধরে রাখছে। যার কারণে তোমার বল প্রয়োগের ফলে কিছুটা উপরের দিকে উঠলেও পরবর্তীতে ঠিক হই নিচে নেমে আসছে। এই ধারণাটি সর্বপ্রথম প্রদান করেন বিজ্ঞানী আইজাক নিউটন। তোমরা নিশ্চয়ই আপেল গাছের নিচ বসে মধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিষ্কারের ঘটনাটি নিশ্চয়ই পড়েছ।
মহান সৃষ্টিকর্তা যদি এই পৃথিবীর চুম্বকীয় আকর্ষণ শক্তি সৃষ্টি না করতেন তাহলে সবকিছুই মহাশূন্যে হারিয়ে যেত। আকাশের মেঘ, বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রের পানি কিছুই থাকত না। কারণ পানি পৃথিবীর পৃষ্ঠে লেপ্টে আছে একমাত্র পৃথিবীর আকর্ষণ শক্তির কারণে।
মহাকর্ষ এবং অভিকর্ষ বলের মধ্য পার্থক্য কি
আশা করি এই দুটি বলের সংজ্ঞা সম্পর্কে তোমরা স্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পেরেছ। এবার চলো কিছু পার্থক্য জেনে নেই।
১। মহাকর্ষ একটি প্রাকৃতিক ঘটনা যেটি মহাবিশ্বের যেকোন দুটির বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণ তৈরি করে। অভিকর্ষ বল পৃথিবীর এবং যেকোনো মধ্যকার বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণ বল।
২। সব মহাকর্ষ বলই অভিকর্ষণ নয় বরং সব অভিকর্ষক বলই এক ধরনের মহাকর্ষ বল।
৩। অভিকর্ষজ ত্বরণের মান শুধুমাত্র ভরের উপরে নির্ভর করে না। আর মহাকর্ষ বলার মান ভর এবং দূরত্ব এই দুইয়ের উপরে নির্ভর করে।
৪। সকল ধরনের মহাকর্ষ বলেই উর্ধ্বমুখী অর্থাৎ মহাবিশ্বের দিকে আর অভিকর্ষ বল হচ্ছে পৃথিবীর দিকে।
আমাদের শেষ কথা
মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এবং সরকারি চাকরির পরীক্ষায় এই টপিকস থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। তাইতো মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ বল কাকে বলে এবং এদের মধ্যে পার্থক্য কি এসম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখা উচিত। এমনকি মৌখিক পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়।
এবারের বিপিএলে বাংলাদেশে আসছেন শহীদ আফ্রিদি, বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।