জেনে নিন ট্রাভেল পাস কি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৬:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

ট্রাভেল পাস কি

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ট্রাভেল পাস এবং স্পেশাল পাস সম্পূর্ণ আলাদা এবং দুটি ভিন্ন জিনিস। সাধারণত মূল পাসপোর্ট এর বিকল্প হিসেবে একটি সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে এই পারমিট প্রদান করা হয়। ৯০ দিন মেয়াদে এবং জরুরি ভিত্তিতে এটি প্রদান করতে উক্ত দেশের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে কর্মরত কিংবা বসবাসরত অনেক নাগরিকের পাসপোর্ট হারিয়ে যেতে পারে কিংবা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ট্রাভেল পাস কিংবা ট্রাভেল পারমিট প্রদান করা হয়। তবে একটি সাধারণ পাসপোর্টের মত এসকল ধরনের তথ্য গুলোও যাচাই বাছাই করে একমাত্র ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এটি প্রদান করতে পারে।

ট্রাভেল পাস কি

যদি দেশের বাইরে অবস্থানকালীন সময়ে আপনার পাসপোর্টটি হারিয়ে যায় কিংবা কোন কারনে একদম নষ্ট হয়ে যায় তাহলে পাসের জন্য আপনি আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই আগের নষ্ট হয়ে যাওয়া কিংবা হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্টের যাবতীয় তথ্য গুলি প্রদান করতে হবে। এছাড়াও হারানোর জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অবশ্যই রিপোর্ট এবং আবেদন জমা দিতে হবে। এটি প্রমাণ করবে যে আপনার মূল পাসপোর্টটি হারিয়ে গিয়েছে।

আবার বিদেশে অবস্থানরত কোন নাগরিকের যদি পাসপোর্ট না থাকে তাহলে তাদের ক্ষেত্রে এটি বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের হাইকমিশন হতে নাগরিকত্ব এবং এ সম্পর্কিত সকল সমস্ত বিষয়াদি যাচাই করে নেওয়া হয়। কারণ কোন ব্যক্তির অন্য দেশের নাগরিকত্ব সঠিকভাবে নিশ্চিত না হয়ে এই ট্রাভেল পাস প্রদান করা আইনগতভাবে নিষেধ।

তবে কোন ব্যক্তির যদি মূল Passport এর তথ্য ব্যতীত ভিন্ন কোনো তথ্য অর্থাৎ ভুল তথ্য দেয় তাহলে এই স্পেশাল পাসপোর্ট তাকে প্রদান করা হবে না।

এর জন্য অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার জন্য প্রয়োজন হয় ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের সদ্য তোলা রঙিন ছবি, হারিয়ে যাওয়া কিংবা নষ্ট হয়ে যাওয়া পাসপোর্টের ফটোকপি (যদি থাকে), এছাড়াও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র। নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি প্রয়োজন হবে।

অবশ্য যাদের পাসপোর্ট সাথে নেই কিংবা এর কোন কপি নেই তারা স্থানীয় সরকার থেকে নাগরিক সনদপত্র প্রদান করতে পারবেন। কারণ এটি দ্বারাও নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা যায়।

বাংলাদেশের কোন ব্যক্তির বাইরের দেশে যাওয়ার দুটি অত্যাবশ্যকীয় কাগজপত্রে ভিসা এবং পাসপোর্ট। নানা কারণে এই দুটির যে কোনোটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা হারিয়ে যেতে পারে। এমতাবস্তায় যাতে কোন নাগরিক তার সকল কাজকর্ম করতে এবং চলাচল করতে সমস্যার সম্মুখীন না হয় তাই এটি প্রদান করার ব্যবস্থা রয়েছে। আশা করি ট্রাভেল পাস কি সে সম্পর্কে আপনাদের ধারণা হয়েছে।

ইতালিতে বিয়ে করলেই পাবেন বসবাসের সুযোগ এবং লক্ষ লক্ষ টাকা, বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জেনে নিন ট্রাভেল পাস কি

আপডেট সময় : ১১:১৬:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ট্রাভেল পাস এবং স্পেশাল পাস সম্পূর্ণ আলাদা এবং দুটি ভিন্ন জিনিস। সাধারণত মূল পাসপোর্ট এর বিকল্প হিসেবে একটি সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে এই পারমিট প্রদান করা হয়। ৯০ দিন মেয়াদে এবং জরুরি ভিত্তিতে এটি প্রদান করতে উক্ত দেশের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে কর্মরত কিংবা বসবাসরত অনেক নাগরিকের পাসপোর্ট হারিয়ে যেতে পারে কিংবা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ট্রাভেল পাস কিংবা ট্রাভেল পারমিট প্রদান করা হয়। তবে একটি সাধারণ পাসপোর্টের মত এসকল ধরনের তথ্য গুলোও যাচাই বাছাই করে একমাত্র ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এটি প্রদান করতে পারে।

ট্রাভেল পাস কি

যদি দেশের বাইরে অবস্থানকালীন সময়ে আপনার পাসপোর্টটি হারিয়ে যায় কিংবা কোন কারনে একদম নষ্ট হয়ে যায় তাহলে পাসের জন্য আপনি আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই আগের নষ্ট হয়ে যাওয়া কিংবা হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্টের যাবতীয় তথ্য গুলি প্রদান করতে হবে। এছাড়াও হারানোর জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অবশ্যই রিপোর্ট এবং আবেদন জমা দিতে হবে। এটি প্রমাণ করবে যে আপনার মূল পাসপোর্টটি হারিয়ে গিয়েছে।

আবার বিদেশে অবস্থানরত কোন নাগরিকের যদি পাসপোর্ট না থাকে তাহলে তাদের ক্ষেত্রে এটি বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের হাইকমিশন হতে নাগরিকত্ব এবং এ সম্পর্কিত সকল সমস্ত বিষয়াদি যাচাই করে নেওয়া হয়। কারণ কোন ব্যক্তির অন্য দেশের নাগরিকত্ব সঠিকভাবে নিশ্চিত না হয়ে এই ট্রাভেল পাস প্রদান করা আইনগতভাবে নিষেধ।

তবে কোন ব্যক্তির যদি মূল Passport এর তথ্য ব্যতীত ভিন্ন কোনো তথ্য অর্থাৎ ভুল তথ্য দেয় তাহলে এই স্পেশাল পাসপোর্ট তাকে প্রদান করা হবে না।

এর জন্য অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার জন্য প্রয়োজন হয় ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের সদ্য তোলা রঙিন ছবি, হারিয়ে যাওয়া কিংবা নষ্ট হয়ে যাওয়া পাসপোর্টের ফটোকপি (যদি থাকে), এছাড়াও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র। নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি প্রয়োজন হবে।

অবশ্য যাদের পাসপোর্ট সাথে নেই কিংবা এর কোন কপি নেই তারা স্থানীয় সরকার থেকে নাগরিক সনদপত্র প্রদান করতে পারবেন। কারণ এটি দ্বারাও নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা যায়।

বাংলাদেশের কোন ব্যক্তির বাইরের দেশে যাওয়ার দুটি অত্যাবশ্যকীয় কাগজপত্রে ভিসা এবং পাসপোর্ট। নানা কারণে এই দুটির যে কোনোটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা হারিয়ে যেতে পারে। এমতাবস্তায় যাতে কোন নাগরিক তার সকল কাজকর্ম করতে এবং চলাচল করতে সমস্যার সম্মুখীন না হয় তাই এটি প্রদান করার ব্যবস্থা রয়েছে। আশা করি ট্রাভেল পাস কি সে সম্পর্কে আপনাদের ধারণা হয়েছে।

ইতালিতে বিয়ে করলেই পাবেন বসবাসের সুযোগ এবং লক্ষ লক্ষ টাকা, বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।