বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম চালু হচ্ছে

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম চালু হচ্ছে

সরকারি বিভিন্ন স্কুল কলেজের পাশাপাশি প্রাইভেট স্কুল-কলেজ গুলোও শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই পড়াশোনার মান আরো বৃদ্ধি করার জন্য বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম চালু হতে পরে বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাথমিকের ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাক্তার বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

তিনি এই বিষয়টা সম্পর্কে জানিয়েছেন ১১ জানুয়ারী সকালে ময়মনসিংহের জাতীয় শিক্ষা একাডেমির একটি সভায়। উক্ত সভায় তিনি আরো উল্লেখ করেন যদি স্কুলের বাচ্চারা সামগ্রিকভাবে শুধুমাত্র বইয়ের উপর নির্ভর করে তাহলে বেশিরভাগ সময় ফলাফল খারাপ হয়। যার কারণে সুস্থ মানসিক বিকাশের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি তাদেরকে খেলাধুলা এবং বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। আর শিক্ষার্থীদের এ সকল কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ এবং পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য দরকার অভিভাবক এবং শিক্ষকদের মধ্যে যথেষ্ট সচেতনতা।

নতুন বই প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন এই বছরের শুরুতেই আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কাছে বই পৌঁছে দিয়েছে। তবে কয়েকটি শ্রেণীর বই এখন পর্যন্ত দেওয়া সম্ভব হয়নি পলিমার জন এবং টেন্ডার বাতিল করার কারণে। তবে খুব শীঘ্রই সে সকল বই গুলো পৌঁছে দেওয়া হবে।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম চালু হচ্ছে

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপারে তিনি আরো উল্লেখ করেন বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এছাড়াও আরো অনেক কারণ রয়েছে। যার মধ্যে করোনা পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠান গুলোতে যে ধরনের পরিবর্তন এসেছিল তাতে অভিভাবকরা সন্তুষ্ট হয়নি। যার কারণে অনেক শিশুরাই প্রাইমারি স্কুল ছেলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে চলে গেছে।

তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা এবং শিক্ষা পদ্ধতিতে আরো পরিবর্তন করার বিষয়ে তিনি জানান। এমনকি আমরা ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছে পাঠ মূল্যায়ন এবং বয়েও বেশ কিছু সংশোধন আনা হয়েছে। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন কবে থেকে শুরু হবে এবং কিভাবে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে সে ব্যাপারে তিনি বলেছেন ইতিমধ্যেও কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

প্রতিটি জেলা শহরের পাশাপাশি বর্তমানে মফস্বল এবং গ্রাম এলাকা গুলোতেও প্রাইভেট স্কুল কলেজের সংখ্যা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সকল প্রতিষ্ঠানে কর্তৃপক্ষ তাদের নিজেদের নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করেন এবং প্রতিষ্ঠান গুলি পরিচালনা করে থাকেন। নতুন এই নিয়মের অধীনে সরকার এ সকল প্রতিষ্ঠান গুলো তত্ত্বাবধান করতে পারবে। এমনকি বিভিন্ন ধরনের নিয়ম কানুনের মধ্য ইন্সটিটিউট পরিচালনা করার জন্য এই সকল প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ বাধ্য থাকবে।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *