চুল পড়া রোধে পেঁয়াজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৭:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ২৪ বার পড়া হয়েছে

চুল পড়া রোধে পেঁয়াজের ব্যবহার

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খাদ্যাভাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ইত্যাদির কারণে আমাদের চুল পড়ার সমস্যা অনেক বেশি দেখা যায়। প্রাচীনকাল থেকেই চুল পড়া রোধে পেঁয়াজের রসের ব্যবহার হয়ে আসছে। ( Onion use ) চুলের বৃদ্ধি, আগা ফাটা সমস্যা ইত্যাদি সমাধান করে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি।

এছাড়াও পেঁয়াজের রস চুলে ব্যবহারে আরো কিছু উপকারিতা মিলবে। এর জন্য আপনাকে কয়েক টুকরো পেঁয়াজ প্রথমে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সেটি মাথার ত্বক এবং চুলে ব্যবহার করতে হবে। পেঁয়াজের পানিতে থাকে সালফার, ফ্লাভানয়েডস এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট।

নিউ ইয়র্ক সিটি ভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রয়োজন মাথার ত্বক ও ফলিকলস ভালো রাখা। আর এটি পেঁয়াজের পানি বা রসের মাধ্যমে সম্ভব।

চুল পড়া রোধে পেঁয়াজের ব্যবহার (Onion for hair fall)

লাস ভেগাস ভিত্তিক একজন ত্বক বিশেষজ্ঞ একটি গবেষণা প্রতিবেদনে প্রকাশ করেন যে, পেঁয়াজের পানিতে থাকা সালফেট আমাদের ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা গুলি রোধ করে। এমনকি যাদের মাথায় চুলকানোর সমস্যা রয়েছে তারাও চুল পড়া রোধে পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারবেন।

মুখের কিংবা মাথার ত্বক ভালো রাখার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি। প্রাকৃতিক এই উপাদানটির মাধ্যমে আমাদের মাথায় সেই ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায়। কিন্তু যাদের মাথায় চুলের পরিমাণ একদমই কম তাদের ক্ষেত্রে যে মাথা ভর্তি চুল গজাবে বিষয়টি ঠিক সেরকম নয়। কিন্তু সার্বিকভাবে আপনার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবেন।

চুলের যত্নে পেঁয়াজের ব্যবহারে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

যে কোন যেকোনো ধরনের রূপচর্চার উপাদান কিংবা প্রসাধনী সামগ্রীতে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয় থাকে। আপনি যদি অতিরিক্ত ঘন রস ব্যবহার করেন তাহলে সামান্যভাবে অস্বস্তি এবং চুলকানি ভাব দেখা দিতে পারে। এমনকি চুলের রঙেও আসতে পারে পরিবর্তন।

অন্যান্য অসচেতনতা

বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্স পাওয়া যায় যেগুলোতে পেঁয়াজ ও এধরনের উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরামর্শ দিয়ে থাকেন নিজে কোন উপাদান তৈরি করার চাইতে বাজার থেকে এ সকল কেনার ব্যাপারে। বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি অনেক গবেষণা এবং প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কসমেটিক্স বা পুণ্য গুলো তৈরি করে থাকে বিধায় এগুলি নিরাপদ।

আর যদি কোনভাবেই আপনার চুল পড়া সমস্যা না কমে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সময় মত সঠিক চিকিৎসা হিসেবে গ্রহণ করলে হয়তো রক্ষা করা যাবে আপনার মাথার চুলকে।

বাসায় বসে চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার পদ্ধতি কি? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চুল পড়া রোধে পেঁয়াজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ

আপডেট সময় : ০৯:১৭:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

খাদ্যাভাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ইত্যাদির কারণে আমাদের চুল পড়ার সমস্যা অনেক বেশি দেখা যায়। প্রাচীনকাল থেকেই চুল পড়া রোধে পেঁয়াজের রসের ব্যবহার হয়ে আসছে। ( Onion use ) চুলের বৃদ্ধি, আগা ফাটা সমস্যা ইত্যাদি সমাধান করে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি।

এছাড়াও পেঁয়াজের রস চুলে ব্যবহারে আরো কিছু উপকারিতা মিলবে। এর জন্য আপনাকে কয়েক টুকরো পেঁয়াজ প্রথমে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সেটি মাথার ত্বক এবং চুলে ব্যবহার করতে হবে। পেঁয়াজের পানিতে থাকে সালফার, ফ্লাভানয়েডস এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট।

নিউ ইয়র্ক সিটি ভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রয়োজন মাথার ত্বক ও ফলিকলস ভালো রাখা। আর এটি পেঁয়াজের পানি বা রসের মাধ্যমে সম্ভব।

চুল পড়া রোধে পেঁয়াজের ব্যবহার (Onion for hair fall)

লাস ভেগাস ভিত্তিক একজন ত্বক বিশেষজ্ঞ একটি গবেষণা প্রতিবেদনে প্রকাশ করেন যে, পেঁয়াজের পানিতে থাকা সালফেট আমাদের ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা গুলি রোধ করে। এমনকি যাদের মাথায় চুলকানোর সমস্যা রয়েছে তারাও চুল পড়া রোধে পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারবেন।

মুখের কিংবা মাথার ত্বক ভালো রাখার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি। প্রাকৃতিক এই উপাদানটির মাধ্যমে আমাদের মাথায় সেই ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায়। কিন্তু যাদের মাথায় চুলের পরিমাণ একদমই কম তাদের ক্ষেত্রে যে মাথা ভর্তি চুল গজাবে বিষয়টি ঠিক সেরকম নয়। কিন্তু সার্বিকভাবে আপনার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবেন।

চুলের যত্নে পেঁয়াজের ব্যবহারে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

যে কোন যেকোনো ধরনের রূপচর্চার উপাদান কিংবা প্রসাধনী সামগ্রীতে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয় থাকে। আপনি যদি অতিরিক্ত ঘন রস ব্যবহার করেন তাহলে সামান্যভাবে অস্বস্তি এবং চুলকানি ভাব দেখা দিতে পারে। এমনকি চুলের রঙেও আসতে পারে পরিবর্তন।

অন্যান্য অসচেতনতা

বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্স পাওয়া যায় যেগুলোতে পেঁয়াজ ও এধরনের উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরামর্শ দিয়ে থাকেন নিজে কোন উপাদান তৈরি করার চাইতে বাজার থেকে এ সকল কেনার ব্যাপারে। বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি অনেক গবেষণা এবং প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কসমেটিক্স বা পুণ্য গুলো তৈরি করে থাকে বিধায় এগুলি নিরাপদ।

আর যদি কোনভাবেই আপনার চুল পড়া সমস্যা না কমে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সময় মত সঠিক চিকিৎসা হিসেবে গ্রহণ করলে হয়তো রক্ষা করা যাবে আপনার মাথার চুলকে।

বাসায় বসে চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার পদ্ধতি কি? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।